পৃথিবীকে প্রায় 1000 কিমি বায়ূমণ্ডলের চাদর দ্বারা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখার কথা আলকুরআনে !
আমি ভাবতাম গণিত কত খাঁটি, কত সত্য এবং বিজ্ঞানের মূল । আর কুরআন সত্যের আধার তবে আলকুরআনে গণিতের কথা নেই কেন ? সেই ভুল আজ ভাঙল !
আলকুরআনে একটি আয়াতাংশ এর মূল্য কেউ কি দিতে পারবে ?
দেখুন আল্লাহ পাক কত বড় গণিতজ্ঞ, কত বড় গল্পের রূপকার আল্লাহ পাক বলেন :-
وَلِسُلَيْمَٰنَ ٱلرِّيحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ
وَرَوَاحُهَا شَهْرٌ
( সুরা সাবা )
" আর আমি সুলাইমান (عليه السلام) এর অধীন করে ছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত । "
( 34 : 12 )
সুলাইমান (عليه السلام) তাঁর সিংহাসনে পরিবার পরিজন ও সভাসদসহ আরোহন করতন । বায়ু তার অধীন হয়ে তিনি যেখানে ইচ্ছা করতেন, সিংহাসনটিকে সেখানে নিয়ে যেতেন । তিনি সকাল থেকে দূপুর পর্যন্ত এক মাসের পথ এবং বিকাল থেকে রাত্রির কিছু অংশ পর্যন্ত এক মাসের পথ অতিক্রম করতেন । এ ভাবে তিনি একদিনে অতি সহজে দুই মাসের পথ অতিক্রম করতেন । আজকে গণিত শাস্ত্র দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে তিনি এই একদিনে অর্থাৎ সকালে ছয় ঘণ্টা এবং বিকালে ছয় ঘন্টায় অর্থাৎ মোট 12 ঘন্টায় সমগ্র পৃথিবীকে পরিক্রমা করতে সক্ষম ছিলেন । কালাম পাকের একটি আয়াত অপর আয়াতের ব্যাখা করে । শূরা আসসেজদাহ্ এর একটি আয়াতের ব্যাখায় এবং হাদীশের 500 বৎসর পথের ব্যাখায় দেখেছি উহা পৃথিবী থেকে সূর্যের কক্ষপথের দূরত্ব এটা নিশ্চিত, এখানে গতিবেগকে উহ্য রাখা হয়েছে আর এই উহ্য গতিবেগটি হলো একজন ঘোড় সওয়ারীর গতিবেগ । এছাড়া এই গতিবেগকে পরিবর্তন করে এই আয়াতের বিভিন্ন অর্থ করা যেতে পারে । এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে আমি মনে করি পৃথিবী স্থির এবং চাঁদ এবং সূর্য তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীকে পরিক্রমণ করে তাই সূর্যের কক্ষপথের কথা বললাম । অতএব 500 বৎসরের পথের দূরত্ব 1 AU. এক বছরে যাত্রা পথ হবে 149598000 ÷ 500 ~ 300000 কি.মি ।
অতএব এক বৎসর যাত্রা পথের দূরত্ব হবে 299196 কিমি । অতএব 12 মাসে যাত্রা পথের দূরত্ব হবে 299196 কিমি । আর দুই মাস পথের দূরত্ব 49,866 কিমি । সুলাইমান ( عليه السلام ) 12 ঘন্টায় এই পথটি অতিক্রম করতেন । আর এই সময়ে তিনি দুটি flight এবং দুটি landing করতেন । ধরি তিনি যে উচ্চতায় উড়তেন উহা x কিমি উপড়ে ।
The boundaries of the atmosphere |
অতএব সমীকরণটি হবে :-
4x +2π(R+x) =49866
we get from the equation
x=959
অতএব তিঁনি 959 কিমি উঁচুতে উড়তে সক্ষম ছিলেন । এটাই হল পৃথিবীর বায়ূমন্ডলের বৃস্তিতি । আর সুলাইমান ( عليه السلام ) এর সিংহাসনের গড় গতিবেগ ছিল
(49866÷12)= 4155 কিমি/ঘন্টায় । স্পষ্টতঃ 959 উচ্চতাটি পৃথিবীর বায়ুস্তরগুলির সমষ্টি ইঙ্গিত করেছে । কুরআন কত বিজ্ঞানময় ! আর যদি উত্তরণ ও অবতরণের কথা বাদ দিয়ে শুধু যাত্রার কথা ধরি তাহলে এক বছরে যাত্রা পথ হবে
149598000 ÷ 500
~ 300000 কি.মি ।
2 মাসের যাত্রা পথ হবে প্রায় 50,000 কি.মি । এই 50 হাজার কিমি পথটি সুলাইমান আলাইহিস সাল্লাম মাত্র এক দিনেই যাত্রা করতেন । আমরা জানি পৃথিবীর পরিধি 2πr
এই ক্ষেত্রে সমীকরণটি হবে 2πr = 50,000
Or
r = 7,958 কি.মি প্রায় । ইহা বায়ুমণ্ডল সহ পৃথিবীর ব্যাসার্ধ । পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ 6368 কি.মি । এই হিসাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বিস্তৃতি হবে প্রায় 1590 কিমি । হিসাবের সুবিধার জন্য পৃথিবীর এই বায়ুমণ্ডলের বিস্তৃতি কে ধরতে পারে প্রায় 1600 কি.মি । আধুনিক গবেষণায় জানা যায় যে পৃথিবীর 1600 কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর অভিকর্ষ বল এবং বায়ুমন্ডলের অস্তিত্ব প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে ।
conclusion ( উপসংহার )
এই ব্লগটির সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব গবেষণার ফসল । বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণার ফলে জানতে পেরেছে যে পৃথিবী কে প্রায় 1000 থেকে 1600 কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল দ্বারা সুরক্ষিত করে রাখ হয়েছে ।
গুরুত্বপূর্ণ এই তত্ত্বটি আল-কোরআন কিভাবে সুকৌশলে ব্যক্ত করেছে সেটাই এই ব্লগে ব্যক্ত করা হয়েছে ।
FAQ
Question : ভূপৃষ্ঠের ওপরের দিকে প্রায় কত কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত ?
Answer : আমাদের এই পৃথিবীপৃষ্ঠ হতে প্রায় 1000 থেকে 1600 কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের বিশাল বিস্তৃতি রয়েছে । এই বায়ুমণ্ডল আমাদের পৃথিবীতে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ।
Question : আল-কোরআনে পৃথিবীর এই বিশাল বায়ুমণ্ডলের কথা কিভাবে ব্যক্ত করেছে ?
Answer : আল-কোরআন পৃথিবীর এই বায়ুমণ্ডলের বিস্তৃতির কথা সূক্ষ্ম ইঙ্গিতে মাধ্যমে সম্পূর্ণ গাণিতিকভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে ।
0 মন্তব্যসমূহ