পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব | আলকুরআন

পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের কথা বর্ণিত হয়েছে আল-কোরআন ও হাদিস শরীফে !
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব 500 বছরের পথ এর আসল রহস্য কি ?  এর অর্থ হল মহান আল্লাহপাক অত্যন্ত সুকৌশল
 আলকুরআন ও হাদীশ শরীফের পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের ব্যাক্ত করেছেন ।

আকাশের দূরত্ব 500 বছর :


পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব  আলকুরআন  পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব  সবচেয়ে বেশি হয়  পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কত কিলোমিটার  পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব  কত  সূর্য পৃথিবী থেকে কত বড়
পৃথিবী থেকে সূর্য ও চন্দ্রের মধ্যকার দূরত্ব ও আল কুরআন


  মহান স্রষ্টা আকাশের দূরত্ব কথা বলার সময় কেবল সময়ের কথা বলেছেন নির্দিষ্ট কোন গতিবেগের কথা বলেননি বরং গতিবেগকে এখানে উহ্য রাখা হয়েছে । এই 500 বছরের পথটি হল আমাদের প্রথম আকাশের সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক  সূর্যের । আর এই 500 বৎসরের পথটি হল একটি আরবীয় ঘোড়ায় 500 বছর সফর করলে যত পথ যায় সেই দূরত্ব টি । সফরের নিয়ম হল সকালে 6 ঘন্টা যাত্রা করবে এবং দূপুরে বিশ্রাম নিবে এবং বিকাল থেকে রাত্রির কিছু অংশ পর্যন্ত 6 ঘন্টা যাত্রা করবে অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় 12 ঘন্টা যাত্রা করবে এবং 12 ঘন্টা বিশ্রাম নিবে । এটাই ছিল একজন ঘোড় সওয়ারীর সফরের নিয়ম । এইভাবে একজন ঘোড় আরোহী  500 বছরের যে পথ যায় সেটাই হল সূর্যের দূরত্ব । সূর্য যে আকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্জিল এতে কোন সন্দেহ নাই কারণ সমস্ত গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে পরিক্রমা করছে । আমরা জানি সূর্য যখন সর্বাপেক্ষাবেশী দূরে থাকে অপসূর বা অপভূ ( apogee ) অবস্থায় তখন দূরত্ব হয় 152000000 কিমি তখন গতিবেগ হবে প্রায় 71.49 কিমি ≈ 71 কিমি ঘন্টা যেহেতু এক চন্দমাস= 29.53059 দিন ।
অতএব এক চন্দ্র বৎসর=29.53059 ×12 =354.37 দিন । অর্থাৎ ঘোড়ার ঘন্টায় গতিবেগ হবে 
15,20,00,00 /(500 × 354.37 × 12)=71.49 কিমি/ ঘন্টা । আবার
 সূর্য যখন খন পৃথিবীর কাছে আসে তখন দূরত্ব হবে 14,72,00,000 কিমি । একে বলা হয় অনুভূ বা অনুসুর (perigee ) তখন ঘোড়ার গতিবেগ হবে
14,72,00,000/(500 × 354.37×12 )=69.23 কিমি/ ঘন্টা ≈ 69 কিমি/ঘন্টা । অর্থৎ ঘোড়ার গড় গতিবেগ হবে {(69+71)÷2} =70 কিমি/ ঘন্টা ।
এখন একটিবার ভেবে দেখুন কত সুন্দর ভাবে মহান আল্লাহপাক কত সাধারণ ভাবে সূর্যের দূরত্ব কে বোঝালেন ! আল্লাহপাক হয়তো এই 500 বছর পথের দূরত্ব এর মাধ্যমে আকাশের গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতিষ্ক সূর্যের দূরত্ব কথা বলেছেন । এই জন্য আল্লাহপাক কেবল সময়ের কথা বলেছেন নির্দিষ্ট কোন দূরত্বের কথা   বলেননি । আল্লাহপাক হয়তো এই 500 বছর পথের দূরত্ব এর মাধ্যমে আকাশের গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতিষ্ক সূর্যের দূরত্ব কথা বলেছেন প্রথম আকাশের কথা বলেছেন এবং সর্বশেষ আকাশের কথা বলেছেন বিভিন্ন গতিবেগ ব্যবহার করে । সেই জন্য আল্লাহপাক কেবল দূরত্বের কথা বলেছেন সময়ের কথা বলেননি ।
যাতে মানুষ  হিকমতের সাথে পরীক্ষিত বিষয়গুলির গতিবেগ বসিয়ে দূরত্ব নির্ণয় করতে পারে সুবিধা মত ।  উদাহরণ হিসেবে ধরতে পারি কম দূরত্বের কথা 70 বছরের পথ বলতে চাঁদের দূরত্বকে যা একজন সাধারন মানুষের হাঁটা পথ । আর 500 বছরের পথ বলতে সূর্যের বিশেষ দূরত্বকে বোঝানো হয়েছে যা দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিবেগের পথ । এখানে সূর্য চাঁদের থেকে তুলনামূলকভাবে বেশ দূরে অবস্থান করে  ।  এই হিসাবে আমরা বলতে পারি যে 50,000 বছরের পথ বলতে একটি বিশেষ জ্যোতিষ্কের দূরত্ব অথবা প্রথম আকাশের দূরত্ব কে বলা হয়েছে যা  আলোর গতি বেগে চলে । এভাবে আমরা ধর্মীয় চিন্তাভাবনাকে আরো অনেক সুদূরপ্রসারী করতে পারি ।



যা হাদীস শরীফের মধ্যে এসেছে  !
সেই হাদীসটি হল  :
  حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالُوا حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَأَصْحَابُهُ إِذْ أَتَى عَلَيْهِمْ سَحَابٌ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا هَذَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ هَذَا الْعَنَانُ هَذِهِ رَوَايَا الأَرْضِ يَسُوقُهُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْكُرُونَهُ وَلاَ يَدْعُونَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهَا الرَّقِيعُ سَقْفٌ مَحْفُوظٌ وَمَوْجٌ مَكْفُوفٌ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ كَمْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ فَوْقَ ذَلِكَ سَمَاءَيْنِ وَمَا بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ عَامٍ ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ مَا بَيْنَ كُلِّ سَمَاءَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ فَوْقَ ذَلِكَ الْعَرْشَ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّمَاءَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا الَّذِي تَحْتَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهَا الأَرْضُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا الَّذِي تَحْتَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ تَحْتَهَا الأَرْضَ الأُخْرَى بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ أَرَضِينَ بَيْنَ كُلِّ أَرْضَيْنِ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّكُمْ دَلَّيْتُمْ رَجُلاً بِحَبْلٍ إِلَى الأَرْضِ السُّفْلَى لَهَبَطَ عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأََ ‏(‏ هو الأَوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ قَالَ وَيُرْوَى عَنْ أَيُّوبَ وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ وَعَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ قَالُوا لَمْ يَسْمَعِ الْحَسَنُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَفَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالُوا إِنَّمَا هَبَطَ عَلَى عِلْمِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ وَسُلْطَانِهِ ‏.‏ عِلْمُ اللَّهِ وَقُدْرَتُهُ وَسُلْطَانُهُ فِي كُلِّ مَكَانٍ وَهُوَ عَلَى الْعَرْشِ كَمَا وَصَفَ فِي كِتَابِهِ ‏.‏

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩২৯৮
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD




    Geocentric parallax, parallax of the Sun
    Geocentric parallax of the Sun 


     সূর্যের এই ভূকেন্দ্রিক লম্বনটি মূলত নির্ণয় করা হয় শুক্র গ্রহের গতিপথকে পর্যবেক্ষণ করে বা শুক্র গ্রহের সাহায্য নিয়ে ।

    Parallax of the moon, Horizontal parallax of the moon
    Equatorial horizontal parallax of the moon 

     

    চাঁদের  ভূকেন্দ্রিক লম্বন :  

    পৃথিবীর কেন্দ্র হতে চাঁদকে যে দিশাই দেখা যায় এবং পৃথিবী পৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত কোন স্থান হতে চাঁদকে যে দেশে দেখা যায় এই উভয় দিশার অন্তর্ভুক্ত কোণটি হল  চাঁদের ভূকেন্দ্রিক লম্বন ।  চন্দ্রের এই ভূকেন্দ্রিক লম্বন নির্ণয় করা হয় নক্ষত্রের সাহায্যে নিয়ে ।

      যাইহোক মূল কথা হলো চাঁদ ও সূর্যের এই প্যারালাক্স নামক কোণগুলির সাহায্যে আমরা অতি সহজেই উহাদের দূরত্ব নির্ণয় করতে পারি ।

    কুরআন ও হাদীশ শরীফ এর ভাষ্য অনুসারে ঘোড়ার গতিবেগ প্রায় 69 থেকে 71 কিমি প্রতি ঘন্টায়, বলা হয়েছে ।  অর্থাৎ অঙ্কের ভাষায়  69 < x < 71.  এখানে x, হল ঘোড়ার ঘন্টায় গতিবেগ ।  কুরআন ও হাদীশ এর ভাষ্য অনুসারে  পৃথিবী হতে সূর্যের দূরত্ব 500 বছরের পথ :- 

    ইসলামে 500 বৎসরের পথ এটা একটি মুযিজা ছাড়া আর কিছু   নয় ।


    উল্লেখ্য এখানে গতিবেগকে সম্পূর্ণ উহ্য রাখা হয়েছে এর একটি মূল রহস্য রয়েছে । সেই রহস্যটি এইরূপ আমরা সাধারণ জিনিস মাপার জন্য  বাটখারা ব্যবহার  করি । আর অতি  ক্ষুদ্র আণু পরমাণুর ওজন মাপার জন্য অন্য ধরনের কৌশল অবলম্বন করি । আবার পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের ওজন মাপার জন্য অন্য ধরনের কৌশল অবলম্বন করি, মহাকর্ষ সূত্রের সাহায্য নিই । অনুরূপ ভাবে আল্লাহপাক দূরের জিনিসকে বোঝানোর জন্য ঘোড়ার গতিবেগকে ধরেছেন । যে দূরত্ব টি আকাশের একটি বিশেষ অবস্থানকে বোঝানো হয়েছে অর্থাৎ সূর্যের দূরত্ব কে বোঝানো হয়েছে । এই ধারণাটি দেড় হাজার বছর আগের একটি ধারণা যখন ব্যবহারিক জিনিসের মধ্যে সর্বোচ্চ  গতিবেগ ছিল ঘোড়ার । কিন্তু বর্তমানে মানুষ আজ শব্দের গতিবেগ মেপেছে, মেপেছে আলোর গতিবেগ  । এখন সর্বোচ্চ গতিবেগ আলোর গতিবেগকে ধরা হয় । সুতরাং এখন থেকে আমাদের এই ধারণা করা অতি সহজ ব্যাপার যে বর্তমানে আলো 500 বছরের যে জায়গায় পৌঁছায় সেটাই হচ্ছে প্রথম আকাশের সীমানা ।  আবার ভবিষ্যতে যদি আলোর থেকে বেশি গতিসম্পন্ন কোন জিনিসের সন্ধান পাওয়া যায় সেটাই হবে শেষ আকাশের সীমানা ।
    এইভাবে মহান আল্লাহ পাক আমাদের 70 বছরের পথ, 500 বছরের পথ, 1000 বছরের পথ এবং 50 হাজার বছরের পথ দ্বারা বহু গুরুত্বপূর্ণ দূরত্বকে বুঝিয়েছেন । এটাই হল আল-কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব। অর্থাৎ আল্লাহ পাক এখানে একটি জিনিসের মধ্যে বহু অর্থকে বোঝাবার জন্য এই কৌশলটি ব্যবহার করেছেন ।
    আর এই জন্যই বলা হয়ে থাকে আল কোরআনের একটি আয়াত এর অর্থ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসকে বোঝানোর হতে পারে ।
      


      

     FAQ

     
     Question : পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত ?
     Answer : পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব 500 বছর ।
     Question  :  আল-কোরআনে কেন বলা হয়েছে আকাশের দূরত্ব 500 বছর ?
     Answer : মহান স্রষ্টা একাধিক জিনিসের দূরত্বকে বুঝাবার জন্য গতিবেগ কে উহ্য রেখেছেন , যেমন পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব একজন ঘোড় সওয়ারের 500 বছরের পথ । অর্থাৎ আরো পরিষ্কার করে বলতে গেলে বলতে হয় একজন ঘোড়ায় চড়ে যদি আকাশ পথে যেতে সমর্থ  হয় তবে তার 500 বছর যেতে লাগবে সূর্যে পৌঁছাতে ।
     

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ